
চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের নোবেল কমিটি বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। নোবেল জয় করার পরপরই তিনি পুরস্কারটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে উৎসর্গ করেন।
এবারের পুরস্কার জয় শুধু স্বীকৃতি ছিল না, বরং মাচাদো ট্রাম্পকে সরাসরি ফোন করে তার প্রতি নিজের ভক্তির প্রমাণও দিয়েছেন। এই ফোন কলে ট্রাম্প জানান, মাচাদো তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি নোবেল পুরস্কারটি তার সম্মানে গ্রহণ করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত সমাধানে তার অবদানের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পও মাচাদোর ফোন পেয়ে খুশি হয়েছিলেন এবং সাংবাদিকদের বলেন, “আজ যিনি নোবেল পেয়েছেন, তিনি আমাকে ফোন করে বললেন, আমি আপনার সম্মানে এটি গ্রহণ করছি। কারণ আপনি সত্যিই এটির যোগ্য ছিলেন।”
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হৃদয় মানবতাবাদী এবং তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ বন্ধ এবং জীবন বাঁচানোর কাজে নিবেদিত।
মাচাদোর সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আত্মগোপনে থেকেও তিনি ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নোবেল জয়ী মাচাদোর সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রকাশ্য সমর্থক। তিনি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েলের সমর্থনে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।
২০১৮ সালে মাচাদো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন, যেখানে নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম সম্পর্কেও তিনি স্পষ্টভাবে সমর্থন প্রকাশ করেছেন।