Date: October 20, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / ভারতে যৌনপাচার চক্র থেকে উদ্ধার করা হলো দুই বাংলাদেশি যুবতী - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ভারতে যৌনপাচার চক্র থেকে উদ্ধার করা হলো দুই বাংলাদেশি যুবতী

October 12, 2025 12:20:47 PM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে যৌনপাচার চক্র থেকে উদ্ধার করা হলো দুই বাংলাদেশি যুবতী

ভারতে পাচার হওয়া দুই বাংলাদেশি যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুনের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই দুই যুবতীকে প্রথমে “বিউটি সেলুনে ভালো বেতনের চাকরি” দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে পাচার করা হয়। তবে বাস্তবে তাদের জিম্মি করা হয়েছিল যৌনপাচারকারী চক্রের হাতে। পুনে পৌঁছানোর পর তাদের জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনে পুলিশ ধনকাওয়াড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই পাচার চক্রের মূল হোতা। পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তার স্ত্রীও এই অপরাধে জড়িত; তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনার পর ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শুক্রবার ভারতী বিদ্যাপীঠ থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এক নারী পুনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানায় যে তাকে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় নামানো হচ্ছে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ পরিদর্শক স্বপ্নিল পাটিলের নেতৃত্বে একটি দল কাত্রাজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে নিরাপদে উদ্ধার করে।

পুলিশের তথ্যমতে, উদ্ধারকৃত নারী ২২ বছর বয়সী এবং বাংলাদেশের নাগরিক। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু দালাল তাকে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত অবৈধভাবে পার করে ভারতে নিয়ে আসে। শুরুতে বিউটি পার্লারের চাকরির প্রলোভন দেখানো হলেও, পরে পুনেতে এনে তাকে যৌনপাচার চক্রের হাতে বিক্রি করা হয়। দীর্ঘ সময়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি অবশেষে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন।

উদ্ধারের পর তিনি পুলিশের কাছে জানান, আরও একজন বাংলাদেশি নারীও প্রায় এক মাস আগে একইভাবে পাচার করা হয়েছে এবং জোরপূর্বক যৌনপেশায় বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক রাহুলকুমারের নেতৃত্বে আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে আমবেগাঁও পাঠার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ২০ বছর বয়সী দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে আনা হয় এবং পরে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় নামানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; সে একজন ভুক্তভোগী নারীকে তার ফ্ল্যাটে আটকে রেখেছিল। আদালত তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এই নারীদের ভারতে নিয়ে আসা এবং স্থানীয় যৌনপাচার চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।