
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণে চাল আমদানি হলেও এর কোনো প্রভাব পড়ছে না জেলার স্থানীয় বাজারগুলোতে। পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়েই চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আমদানি করা চালের সিংহভাগই সাতক্ষীরার বাজারে না এসে সরাসরি রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ আমদানির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় ক্রেতারা।
তাদের মতে, চালের দাম না কমার পেছনে আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, অসাধু মজুদদারদের তৎপরতা এবং পাইকারি বাজারে চালের সীমিত সরবরাহ। বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সুলতানপুর বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত প্রায় তিন মাস ধরে চালের দাম একই রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৮ টাকা, ২৮ জাতের চিকন চাল ৬২-৬৩ টাকা এবং মোটা চাল ৪৯-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাসমতী ৮৫ টাকা এবং আতপ চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৭৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৩ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, "ভোমরা দিয়ে চাল আমদানির ফলে স্থানীয় বাজারে দাম কমার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস ধরে দাম অপরিবর্তিত থাকায় আমরাও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"