
পিরোজপুরের নেছারাবাদে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সরকারি রাস্তার মাটি কেটে নিজের নার্সারিতে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আতিকুল ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর ফলে সড়কটি জুড়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে দেড় শতাধিক পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অলংকারকাঠি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সরদারবাড়ী সড়কে। এই রাস্তাটি অলংকারকাঠি ও পানাউল্লাহপুর গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবারের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এ পথেই প্রতিদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুল ইসলাম প্রতি বছরই রাস্তার পাশের মাটি কেটে তার ব্যক্তিগত নার্সারির কাজে ব্যবহার করেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি শ্রমিক দিয়ে নির্বিচারে মাটি কাটতে শুরু করলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিলন হোসেন বলেন, "এটি আমাদের গ্রামের একমাত্র ইটসলিং রাস্তা। আতিকুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মাটি কেটে নেওয়ায় রাস্তার পাশে বড় বড় খাদ তৈরি হয়েছে। আমরা বাধা দিতে গেলে তিনি উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন।"
এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, "একজন শিক্ষক হয়ে তিনি যেভাবে সরকারি রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখন এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ হওয়ার উপক্রম।"
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন এ ঘটনাকে লজ্জাজনক উল্লেখ করে বলেন, "তিনি নির্বিচারে রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি করছেন। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, "নার্সারির জন্য মাটি দরকার হওয়ায় সামান্য কেটেছি। এর আগেও অনেকে কেটেছে, আমি কাটলে দোষ কী? তাছাড়া স্থানীয়রা আমার কাছে চাঁদা চেয়েছিল।"
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"