
প্রায় দুই দশক ধরে পুরুষ কাবাডি দল এশিয়ান গেমসে কোনো পদক জিততে পারেনি, আর মেয়েরা পদকবঞ্চিত ১১ বছর ধরে। ঘরোয়া কাবাডিতে অর্থের অভাব না থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য আসছে না। এই বাস্তবতায় মেয়েদের বিশ্বকাপ কাবাডির আয়োজনকে সামনে রেখে নতুন আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. নেওয়াজ সোহাগ জানান, দেশের কাবাডির উন্নতি এখন দৃশ্যমান। তিনি বলেন, “দেশজুড়ে চলছে জাতীয় কাবাডি। মেয়েদের বিশ্বকাপ কাবাডি আয়োজনের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।”
গত আগস্টে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই আসর। কিন্তু বিশ্ব কাবাডি ফেডারেশন ও আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে টুর্নামেন্টটি স্থগিত হয়ে যায়। এরপরই বাংলাদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয় বিশ্বকাপের।
আগামী ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর ঢাকার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৪ দেশের অংশগ্রহণে এই কাবাডি বিশ্বকাপ। আয়োজক বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেবে আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার। স্ট্যান্ডবাই দল হিসেবে রাখা হয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ডকে।
মেয়েদের কাবাডি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা সরকার থেকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন। বাকি অর্থ স্পন্সরদের মাধ্যমে জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশের আয়োজনে হতে যাওয়া এই আসরকে ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। দীর্ঘ সময় পর এমন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন দেশের কাবাডি খেলায় নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।