Date: October 18, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / জাতীয় / সাবিকুন নাহারের অভিযোগ: ত্বহা দু’দিন অন্তর অন্তর মারধর করেন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সাবিকুন নাহারের অভিযোগ: ত্বহা দু’দিন অন্তর অন্তর মারধর করেন

October 16, 2025 02:13:09 PM   দেশেরপত্র ডেস্ক
সাবিকুন নাহারের অভিযোগ: ত্বহা দু’দিন অন্তর অন্তর মারধর করেন

ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি এক লাইভ টক শোতে তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই ত্বহা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। সাবিকুন নাহারের কথায়, “আবু ত্বহা নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। কোনো কারণ ছাড়াই তিনি আমাকে মারধর করতেন, প্রায় দু’দিন পরপর এমন ঘটনা ঘটত। আমি অসুস্থ হলেও তিনি খোঁজ নিতেন না। এছাড়া বাসায় ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটত, যার প্রমাণও আছে। কিন্তু অন্যদের সামনে সব অস্বীকার করেন।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনি নিজের অর্থ ও যত্ন দিয়ে ত্বহাকে খাওয়ানোর পরেও তার মধ্যে কোনো কৃতজ্ঞতা দেখা যায়নি। সাবিকুন বলেন, “আমার সংসার শেষ হয়ে গেছে, তিনি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন।” এর আগে সোমবার নিজের ফেসবুক পোস্টে সাবিকুন লিখেছেন, “আমার অতীতের ভুল তুলে ধরে ত্বহার বর্তমান অপরাধ ঢাকতে চাচ্ছেন অনেক ভক্ত। কিন্তু সত্যের প্রভাব কখনও চাপা পড়ে না।”

লাইভে সাবিকুন নাহার অভিযোগ করেন, ত্বহা বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখতেন। তিনি বলেন, রংপুরের এক মেয়েকে ‘বেবিসিটার’ হিসেবে কাজের অজুহাতে বাসায় আনার চেষ্টা করেছিলেন। বাচ্চার দেখাশোনার নামে সেই মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, ছবি চাইতেন ও প্রশংসা করতেন। এমনকি আবার বিয়ে করার পরিকল্পনাও করেছিলেন।

একটি আরও ঘটনা তুলে ধরে সাবিকুন জানান, ত্বহা এক ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়ের মায়ের সাহায্যের অজুহাতে সেই মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তিনি মেয়েটিকে ঢাকায় আনা, সব খরচ বহন করা—কিন্তু ত্বহার এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি। উদ্দেশ্য ছিল মেয়েটিকে ফাঁদে ফেলা।

আরেকটি ঘটনার বর্ণনায় সাবিকুন বলেন, ত্বাা এক নারীর সঙ্গে ‘মাদ্রাসা বানানোর’ অজুহাত দেখিয়ে কাছাকাছি আসেন। পরে সেই নারী বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি চাপা যায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাস্তা দিয়ে কোনো মেয়ে গেলে ত্বহা তাকিয়ে ‘মাশাল্লাহ’ বলতেন, যা তার সংসার ধ্বংস করেছে।

সাবিকুন নাহার বলেন, বাসায় কাজ করা মেয়ের সঙ্গেও ত্বহার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। তিনি মেয়েটির সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন, টাকা দিতেন ও নম্বর দিতেন। একবার ১৮ মিনিট ধরে ফোনে কথা বলার ঘটনা ঘটে, তখন মেয়েটি লিখেছিল, ‘আপনার ওপর রাগ আছি’। অতঃপর সাবিকুন মেয়েটিকে বিদায় দেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ত্বহা আরও অনেক নারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, কখনও মাদ্রাসা বা প্রতিযোগিতার অজুহাতে। সিরাত সিজন ৩ প্রতিযোগিতার বিজয়ী এক মেয়ের সঙ্গেও তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল। এছাড়া এক ডিভোর্সী নারী আলেমার সঙ্গেও দীর্ঘদিন যোগাযোগ রাখতেন। সবকিছু সহ্য করতে গিয়ে সাবিকুন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, তবু সংসার বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছেন।

শেষে সাবিকুন নাহার বলেন, “আমি তার পাশে থেকেও আজ একা। আমার সংসার, সন্তান—সবকিছু ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। যে মানুষকে আমি এত ভালোবেসেছি, সেই আজ আমার সবচেয়ে বড় কষ্টের কারণ।”

এই অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে আবু ত্বহা আদনান এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি।