
আফগানিস্তানের আরগুন জেলার সাম্প্রতিক বিমান হামলায় তিন স্থানীয় ক্রিকেটারের নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন আফগানিস্তান জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক রশিদ খান। এই হামলাকে তিনি নীতিবিরুদ্ধ ও বর্বরতাপূর্ণ আখ্যায়িত করেছেন। নিহতরা হলেন স্থানীয় ক্রিকেটার কবির, সিবধাতুল্লাহ এবং হারুন।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এএসসিবি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর এই ‘কাপুরুষোচিত’ হামলায় নিহত ক্রিকেটারদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা আফগানিস্তানের ক্রিকেট সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণের জন্য গভীর ধাক্কা।
ঘটনার জের ধরে, পাকিস্তানে আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আফগানিস্তান দল নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএসসিবি। বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। রশিদ খানও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও অবকাঠামোর উপর হামলাকে নীতিবিরুদ্ধ এবং বর্বরতাপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং তরুণ ক্রিকেটাররাও রয়েছেন, যারা একদিন বিশ্বমঞ্চে নিজেদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছিলেন।
রশিদ খান এএসসিবির পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “জাতীয় মর্যাদা জাতীয় ক্রিকেট ও জনগণের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।”
ঘটনার প্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পেসার ফজলহক ফারুকি ফেসবুকে লিখেছেন, “নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ এবং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দের হত্যা করা নৃশংস ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।” এছাড়া সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী জানিয়েছেন, “আরগুন জেলার বীর ক্রিকেটারদের মৃত্যু সংবাদ শুনে হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছে। এই ঘটনা শুধু পাকতিকা প্রদেশের নয়, বরং সমগ্র আফগান ক্রিকেট পরিবার এবং দেশের জন্যও গভীর শোকের বিষয়।”
এই হামলা ও তার ফলাফল আফগানিস্তানের ক্রিকেট সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড ও তার খেলোয়াড়রা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই ধরনের নৃশংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিকভাবে উপেক্ষা করা যায় না।