
তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত বেরিস একিঞ্চি মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি খাতে নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত একিঞ্চি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর হিসেবে এ সাক্ষাতকে উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের কাছে পৌঁছে দেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে সুবিধাজনক সময়ে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সাদরে গ্রহণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, “আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও উচ্চতায় নিতে চাই। জুলাই বিপ্লবের পর এটি একটি নতুন সূচনা, যেখানে দুই দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।” তিনি তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য।
উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী একিঞ্চি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “তুরস্ক সবসময় শিক্ষা উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করে আসছে এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৃত্তি ও বিনিময় কর্মসূচি চালু রেখেছে।”
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক এবং পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।