
বর্তমানে ফেসবুকের ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে আয় করা অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় এক সুযোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন বা কনটেন্ট তৈরি করেন, তাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—১ লাখ ভিউতে আসলে কত টাকা আয় হয়?
ফেসবুকের আয় নির্ভর করে একাধিক বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দর্শকদের অবস্থান। উন্নত দেশগুলোর দর্শক থেকে ভিউ পেলে আয় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়, কারণ সেখানে বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি অর্থ প্রদান করেন। পাশাপাশি ভিডিওর মানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে ভিডিওগুলো উচ্চমানের, সেগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সুযোগও বেশি থাকে।
তাছাড়া বিজ্ঞাপনদাতাদের চাহিদা বা "ad demand" অনুযায়ীও আয় ওঠানামা করে। কোনো সময় বিজ্ঞাপনের প্রতিযোগিতা বেশি হলে আয় বেড়ে যায়, আবার চাহিদা কম থাকলে তা হ্রাস পায়।
সবদিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, ফেসবুকে ১ লাখ ভিউ থেকে আয় সাধারণত ২০০ থেকে ১,০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে এটি প্রায় ২০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে। তবে এই পরিমাণ একেবারে নির্দিষ্ট নয়—কারণ প্রতিটি ভিডিওর আয় নির্ভর করে তার কনটেন্টের ধরণ, টার্গেট অডিয়েন্স, বিজ্ঞাপন ধরন ও ভিউয়ের দেশভিত্তিক অবস্থানের ওপর।
যারা ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে আয় বাড়াতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মানসম্মত ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করা। দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করা, বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী বিষয় বেছে নেওয়া, এবং কমেন্টের মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে বলা যায়, ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে আয় করতে হলে ধৈর্য, ধারাবাহিকতা এবং সৃজনশীলতা সবচেয়ে বড় মূলধন। নিয়মিত কাজ ও মানসম্মত কনটেন্টের মাধ্যমে যে কেউ ধীরে ধীরে ১ লাখ ভিউ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করতে পারেন।