
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু চলে গেছেন অনেক আগেই, কিন্তু তার সুর আর স্মৃতি আজও ভক্তদের হৃদয়ে জীবন্ত। রুপালি গিটারের এই জাদুকর ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর মাত্র ৫৬ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সময়ের চাকা ঘুরে এবার পেরিয়ে গেছে তার মৃত্যুর সাত বছর, তবুও যেন তিনি রয়েছেন সবার মন ও সংগীতচর্চায়।
গত শনিবার ছিল এই কিংবদন্তি শিল্পীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন ভক্ত, সহকর্মী ও সংগীতাঙ্গনের মানুষজন নানা আয়োজনে স্মরণ করেন তাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভেসে আসে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ঢেউ। সেই স্মৃতিময় দিনে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনাও নিজের আবেগ প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তিনি ফেসবুকে আইয়ুব বাচ্চুর একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘জীবন বড়ই বিচিত্র, সন্ধ্যা কাটে না, অথচ দিব্যি বছর ঘুরে বছর আসে। দেখতে দেখতে সাত বছর...’ — এই সংক্ষিপ্ত বার্তায় ফুটে উঠেছে হারানোর গভীর যন্ত্রণা ও দীর্ঘশ্বাস।
আইয়ুব বাচ্চু ও ফেরদৌস আক্তার চন্দনার সম্পর্কের শুরুটা ছিল বন্ধুত্ব দিয়ে। সংগীতের পথ চলার শুরু থেকেই দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধন। দীর্ঘদিনের সেই বন্ধুত্ব পরিণতি পায় বিয়েতে—১৯৯১ সালের ৩১ জানুয়ারি তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান—মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব এবং ছেলে আহনাফ তাজওযার আইয়ুব।
আজও বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আইয়ুব বাচ্চুর নাম উচ্চারিত হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। তার গাওয়া গান, গিটার বাজানোর অনন্য স্টাইল এবং ব্যান্ড সংগীতকে মূলধারায় তুলে ধরার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে—আর স্ত্রী চন্দনার সেই আবেগঘন বার্তাই যেন মনে করিয়ে দেয়, কিংবদন্তিরা কখনও সত্যিই হারিয়ে যান না।