
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকার স্কোর দাঁড়িয়েছে ১৫৯, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণির মধ্যে পড়ে।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার একিউআই স্কোর ২২১। ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে ১৮৬ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর মানে হলো বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই মাত্রায় শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালা ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বায়ুর মান নির্ধারণে একিউআই বিবেচনা করে পাঁচটি দূষণ উপাদান—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড (NO₂), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাই–অক্সাইড (SO₂) এবং ওজোন (O₃)।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান তিন উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যানুসারে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। দূষিত বাতাস থেকে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
বায়ুদূষণ এখন কেবল পরিবেশ নয়, মানবস্বাস্থ্যের জন্যও এক বড় হুমকি—যার প্রভাব ঢাকা শহরের প্রতিদিনের জীবনে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।