
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড়, ভূারপাড়া ও হাটখোলাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ফলে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ একাধিক গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছে হাজারো মানুষের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পদ্মার পানি নামতে শুরু করার পর থেকেই নদীর পাড়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। গত কয়েকদিনে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় মরিচা ইউনিয়নের ৫, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এখনই যদি ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো এলাকা নদীর পেটে চলে যাবে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙনে তাদের সর্বস্ব হারাতে হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান মেলে না। চোখের সামনে বাপ-দাদার ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হতে দেখে তারা এখন দিশেহারা।
এ অবস্থায়, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও সম্পদ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।