
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় অন্যতম মূলহোতা এবং দুর্ধর্ষ ডাকাত হিসেবে পরিচিত মোঃ আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১। শনিবার (৪ অক্টোবর, ২০২৫) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানার আনসার রোড এলাকা থেকে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২১ জুন, ২০২৫ তারিখে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ী এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেদিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল ডা. মোর্শেদুল হক শরীফ ও তার স্ত্রী ডা. মৌসুমী আক্তার লিজার বাড়িতে প্রবেশ করে। ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে ডা. মোর্শেদুল হকের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তার স্ত্রী ডা. মৌসুমী আক্তার লিজার গলায় ধারালো দা ধরে হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় ডাকাতরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা, ৬টি স্বর্ণের চেইন, ৫ জোড়া কানের দুল, ১ জোড়া স্বর্ণের বালা, ১টি ব্রেসলেট, ১টি লকেট, ১টি আংটি, ৩টি দামি হাতঘড়ি এবং ২টি মোবাইল ফোনসহ সব মিলিয়ে আনুমানিক ২২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ডা. মোর্শেদুল হক বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মামলার পর র্যাব-১ এর একটি দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় র্যাব জানতে পারে, ডাকাতির মূলহোতা আলমগীর শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৩৫ মিনিটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আলমগীর হোসেন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার মলমল গ্রামের মমতাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে।
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।