
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কঠোর অবস্থানের পর ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে ইসি’র জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কমিশনের প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা’ নেই, তাই এনসিপিকে ওই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দলটি তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বেছে না নিলে, কমিশন নিজস্ব উদ্যোগে তাদের জন্য প্রতীক নির্ধারণ করবে।
ইসি সচিবের এই বক্তব্যের পরপরই এনসিপি নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে ওঠেন। তারা দাবি করেন, শাপলা প্রতীক শুধু একটি প্রতীক নয়—এটি জনতার অনুভূতির প্রতীক। একই সঙ্গে ইসি’র সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিষয়টি কেবল প্রতীক ইস্যু নয়, বরং এটি নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সক্ষমতার পরীক্ষা। তিনি অভিযোগ করেন, ইসি’র সিদ্ধান্ত আইন ও বিধির সীমা অতিক্রম করে ‘মন-মর্জির ভিত্তিতে’ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর কোনো প্রতিষ্ঠান জনগণের কাছে জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারে না। ইসি স্পষ্ট করতে হবে—তারা কি জনগণের মুখাপেক্ষী, নাকি কোনো রাজনৈতিক শক্তির মুখাপেক্ষী?”
পোস্টের শেষে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে লেখেন, “জনতার মার্কা শাপলা, এনসিপির মার্কা শাপলা, শাপলা দিতে হবে।” পরে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই পোস্টটি নিজের পেজে শেয়ার করেন, আর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, “এনসিপি শাপলাই পাবে।”
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এনসিপিসহ দুটি নতুন দলকে নিবন্ধন দেয়। নিবন্ধনের পর এনসিপিকে কমিশনের তফসিলে থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে প্রতীক না বেছে নিয়ে এনসিপি বরং বিধি সংশোধনের দাবি তোলে এবং পুনরায় শাপলা প্রতীক পাওয়ার আবেদন করে।
ইসি সচিবের সাম্প্রতিক বক্তব্যে সেই দাবি কার্যত বাতিল হয়েছে, যা এনসিপির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এখন দলের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের