Date: October 18, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / খেলাধুলা / ক্রীড়া উপদেষ্টার মতে, মাশরাফি রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন। - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ক্রীড়া উপদেষ্টার মতে, মাশরাফি রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন।

October 15, 2025 06:02:13 PM   ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া উপদেষ্টার মতে, মাশরাফি রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, তার ধারণা মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন আর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মাশরাফি আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেলেও, আসিফ মাহমুদের মতে তিনি রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান বা দেশ ত্যাগ করেন। সেই তালিকায় ছিলেন সাবেক হুইপ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য বা কর্মকাণ্ডে যুক্ত হননি।

সাকিব আল হাসানকে ঘিরে বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়েই মাশরাফির প্রসঙ্গ আসে। সাকিবকে নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার কারণেই তার প্রতি রাষ্ট্রীয় সহায়তার সুযোগ আর নেই। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, আর্থিক জালিয়াতি ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যামামলার অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব অভিযোগের কারণেই সাকিব আলোচনায় এসেছেন, সরকার বা বোর্ড তাকে আলাদা করে টার্গেট করেনি।

এরপর মাশরাফি প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, তার জানা মতে মাশরাফি এমন কোনো বিতর্কে জড়িত নন। বরং তিনি তার আগের রাজনৈতিক অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, “আমার জানামতে উনি ওনার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন, ফেসবুকে স্পষ্ট করে বলেছিলেন বলে আমার মনে পড়ে।”

যদিও বাস্তবে মাশরাফি সেই ইঙ্গিত দেন ফেসবুকে নয়, বরং গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি বলেন, “যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি, তাহলে কেমন হয় না!”—এই বক্তব্যের মাধ্যমেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন।

এর পর থেকে তার কর্মকাণ্ডও তা-ই নির্দেশ করছে। গত এক বছরে মাশরাফি ফেসবুকে মোট ১৪টি পোস্ট দিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া প্রসঙ্গে, কিন্তু এর একটিতেও আওয়ামী লীগের নাম বা কোনো রাজনৈতিক বার্তা নেই। বিপরীতে সাকিব আল হাসান নিয়মিতই আওয়ামী লীগ ও জুয়ার ব্র্যান্ডিং–সম্পর্কিত পোস্ট দিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, যদি মাশরাফির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে কোনো অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেখানেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তার ভাষায়, “উনি তো অবসর নিয়েছেন অনেক আগে, খেলা বা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ডে নেই বলেই আলোচনায় আসেননি। অন্যদের মতো তার বিষয়টি রেলেভেন্ট নয়।”

সব মিলিয়ে আসিফ মাহমুদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, মাশরাফি এখন রাজনীতি থেকে দূরে, এবং তার বর্তমান অবস্থান অনেকটাই নিরপেক্ষ ও ক্রীড়াকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।