
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ছেড়ে দুধ দিয়ে গোসল করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসা কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ অবশেষে কারাগারে গেছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কামরুজ্জামান মাসুদ আশানপুর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী হাজী মো. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের ফতেহাবাদ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রুবেল হত্যা মামলায় মাসুদ আসামি হন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তবে গত ১৭ আগস্ট নিজ বাড়ির ছাদে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন — যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এরপর তিনি চেয়ারম্যান পদে থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেও নির্ধারিত সময়ে নিম্ন আদালতে হাজির হননি।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার তিনি কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং জামিনের আবেদন জানান। তবে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।