
নরসিংদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন পাঁচ সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব খান সরকারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুমকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তার সমর্থকরা সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সকালে সাংবাদিকরা নরসিংদী সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহের জন্য অবস্থান করছিলেন। এসময় কাইয়ুমের সমর্থকরা যমুনা টিভির সাংবাদিক আইয়ুব খান সরকারকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি হামলা শুরু করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
হামলায় সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার আশিকুর রহমান পিয়াল, একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মো. ঈদুল ফিতর, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মাহফুজুর রহমানসহ আরও একজন সাংবাদিক আহত হন।
হামলার সময় আহত সাংবাদিকদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদা গুলশানারা কবির জানিয়েছেন, আইয়ুব খানের মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আঘাতের কারণে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েই হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা করা হবে।”
এদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তারা এটিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।